Afbeelding van de auteur.

Narayan Sanyal (1924–2005)

Auteur van বিশ্বাসঘাতক

13 Werken 20 Leden 3 Besprekingen

Over de Auteur

Werken van Narayan Sanyal

Tagged

Algemene kennis

Geboortedatum
1924-04-26
Overlijdensdatum
2005-02-07

Leden

Besprekingen

হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গা এই উপমহাদেশের একটি অতি পরিচিত দৃশ্য যা তার দেড়শ বছরের ‘ঐতিহ্যে’র গর্বে গরীয়ান! সাম্প্রতিক সময়ের সবচেয়ে আলোচিত দাঙ্গাটি ঘটে গেছে ৯০ এর দশকে, যার ফলশ্রুতিতে ১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর ধ্বংস হয় অযোধ্যার বাবরি মসজিদ। নিহত হয় আড়াই হাজার এর মত মানুষ। এই দাঙ্গার সূত্রপাত ১৯৮৯ সালের অক্টোবর মাসে, বিহারের ভাগলপুর শহরে। লজ্জাকর এই ‘ধর্মযুদ্ধ’ চলাকালীন সময়ের ক্ষুদ্র একটি অংশের গল্প শুনিয়েছেন নারায়ণ সান্যাল তাঁর ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম’ বইয়ের প্রথমার্ধে, ‘সন্তান মোর মার’ উপন্যাসিকাটিতে। দাঙ্গার ইতিহাস পড়াটা খুব সুখকর কিছু নয় মোটেও। এটা নির্বোধ কিছু মানুষের অবিশ্বাস্য হিংস্রতার ইতিহাস মাত্র। এটা মানুষের অতলস্পর্শী স্বার্থপরতার উপাখ্যান। ‘কাফের নিধন’ এর নামে মুসলিম হিন্দুর ওপর অবলীলায় তলোয়ার এর কোপ বসিয়েছে, হিন্দু জ্বালিয়ে দিয়েছে ‘ব্লাডি বাস্টার্ড’ মুসলিম এর ঘর। দাঙ্গার ছ’মাস পরেও পাওয়া গেছে অর্ধদগ্ধ মনুষ্যদেহাবশেষের স্তূপ। বর্ণনাগুলো যদি বা হৃদয়ে প্রচণ্ড ধাক্কা দেয়, হতাশায় নির্বাক হয়ে যেতে হয় যখন আবিষ্কৃত হয় এই দাঙ্গার অণুঘটক আসলে রাজনৈতিক ক্ষমতার শিখরে চির আসীন হয়ে থাকতে চাওয়া কিছু মানুষ মাত্র। কেবল শারীরিক সাদৃশ্যের জন্যই মানুষ নামধারী এই প্রাণীগুলো স্রেফ নিজেদের স্বার্থের দায়ে, চিন্তা করতে নারাজ গণমানুষকে খেপিয়ে তুলেছে একের পর এক। পরবর্তী নির্বাচনে এই দাঙ্গাকে ইস্যু করে ভোট আদায় করে নিতে হবে তো! সাধারণ মানুষকে খেপিয়ে তোলাটা খুব সহজ! কেবল নিজেদের পেটের চিন্তায় যে মানুষগুলোর দিন কাটে, তারা কি বুঝবে রাজনীতির কঠিন মারপ্যাঁচ? তারা তো ক্ষমতার দাবা খেলার বোড়ে মাত্র। এক ঘর এক ঘর করে ক্রমাগত মৃত্যুর দিকে এগিয়ে ‘মন্ত্রী’দের চারপাশে অবাধ চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেবার জন্যই তো তাদের অস্তিত্ব! গবেষণাধর্মী ফিকশন লেখার ক্ষেত্রটিতে নারায়ণ সান্যাল অত্যন্ত সিদ্ধহস্ত। ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম’-এ আপন ক্ষমতার স্বাক্ষর তিনি রেখেছেন বরাবরের মতই। ধর্মের বিশ্বাসের পার্থক্য আজ আমাদের মানুষ পরিচয়কে ছাপিয়ে বড় হয়ে উঠেছে। হিন্দু কি মুসলিম, ক্রিশ্চান, বৌদ্ধ কি জৈন, আস্তিক কি নাস্তিক, সবাই মিলে আমরা একটিই তো জাতি, একই গ্রহেরই তো সন্তান। নিজেদের ভেতর এত 'শ্রেনীবিন্যাস' দেখে লেখক তাই দীর্ঘশ্বাস ফেলে পরিশেষে বলেছেন, “যে মূর্খ নির্যাতিত, নিরন্ন, অবহেলিত আমজনতাকে দেখিয়ে নির্লজ্জের মতো আজও প্রশ্ন করছেঃ ‘হিন্দু না ওরা মুসলিম?’ তাদের মুখের উপর আজও কি বলার সময় আসেনি যেঃ ‘ডুবিছে মানুষ! সন্তান মোর মা’র!’"

১৯৯০ সালের হিন্দু-মুসলিম সেই দাঙ্গা আজও শেষ হয়ে যায়নি। প্রায় প্রতিদিনই এখন বাংলাদেশের কোথাও না কোথাও মন্দির ভাঙ্গা চলছে। টিভিতে দেবী প্রতিমার ভাঙ্গা মাথা মাটিতে গড়াতে দেখাটাও প্রায় রুটিন হয়ে গেছে। সেই ১৮৫৭ সালে ব্রিটিশ রাজ তার অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে হিন্দু মুসলিম এর মাঝে ধর্মের বিভেদ এর বিষ ছড়িয়ে দিয়েছিলো এনফিল্ড রাইফেলের কার্তুজে গরু আর শুয়োরের মাংস মিশিয়ে। জাত যাবার ভয়ে হিন্দু আর মুসলিম কেউই ব্রিটিশ এর বিরুদ্ধে একাট্টা হয়ে দাঁড়াতে পারেনি সে বেলায়। উপমহাদেশে এর আগে তো এই দুই ধর্মের মানুষের বিভেদের কথা শোনা যায়নি। ব্রিটিশ শাসকের কূটবুদ্ধির এমনই বিষ, দেড়শ বছর পরে আজও এই বিষ আমাদের সমান ভাবে দংশিয়ে মারছে।

ইদানিং প্রায়ই শোনা যায় দেশ বিদেশের নানা প্রগতিশীল বুদ্ধিজীবীগণ ধর্মের পার্থক্যের ফলে উদ্ভূত দাঙ্গা এড়াবার জন্য ধর্মকেই উঠিয়ে দেবার কথা বলছেন! সমস্যাটা ধর্ম করেনি। ধর্মের অজুহাতে মানুষ করেছে। ৪০ বছর আগেও সাদা আর কালো মানুষ এক টেবিলে বসে খেতে পারতোনা। আজ তা পারে, তার কারণ এটি নয় যে, কালো মানুষ শিরিষ কাগজে ঘষে তার বর্ণ সাদা করে ফেলেছে কিংবা সাদা মানুষ গায়ে আলকাতরা ঢেলে কালো হয়ে গেছে। তার কারণ এটিই যে, মানুষ তার দৃষ্টিভঙ্গির ভুলটা ধরতে পেরেছে। পাকিস্তানীরা আমাদের ওপর অত্যাচার করেছে আমাদের ভাষার ও সংস্কৃতির পার্থক্যের কারণেই। মানুষ এমন এক প্রাণী, সে তার নিজের দিকের পক্ষ ভারী করে ওদিকের পক্ষকে অবদমিত করে রাখতে চায়। আজ আমার এলাকার সব মানুষ লাল জামা পরা শুরু করলে, কাল বোধহয় নীল জামা পরা মানুষগুলোকে তারা একঘরে করে রাখবে!

যার যা ধর্ম তা-ই থাকবে। যে যে ভাষায় কথা বলে, সে ভাষায়ই বলতে থাকবে, পাল্টে যাবেনা গায়ের রংয়ের পরিচয়ও। শুধু বদলাতে হবে মানুষের মনের রং। কেবল এই একটি পরিবর্তনই পারে 'হিন্দু না ওরা মুসলিম?' এই হাস্যকর প্রশ্নটিকে উড়িয়ে দিতে।
… (meer)
 
Gemarkeerd
Shaker07 | May 18, 2017 |
Have you read any such book that is simultaneously a breathtaking thriller novel, an elementary science book and a journal that tells you the history of mankind's nastiest conspiracy theory, The Manhattan Project (which produced the first atomic bomb in 1945) and can you think of a book where all the Nobel laureate scientists like Ernest Rutherford, Niels Bohr, Richard. P. Feynman, Werner Heisenberg, J R Oppenheimer play the roles of heroes and villains? Well, if you can't, you gotta read this book!

This amazing book starts with the atomic model of elements showing how electrons and protons are organized around the nucleus inside an atom, explains the discovery of neutron and gives you a rough idea of producing an atom bomb!(Quite far away from a thriller novel eh?) It then quickly goes back to the original story, how the team members for Manhattan project were chosen and how the colors in the international political fields were quickly changing giving all the necessary details. The novel often takes the narrative style of a documentary journal. The true story, based upon which this book is written, is no less twisted than any of the James Bond or other fancy Hollywood spy movies! Reality sometimes indeed is stranger than fiction.
… (meer)
 
Gemarkeerd
Shaker07 | May 18, 2017 |
পুরোপুরি গজময় এক উপন্যাস 'গজমুক্তা'! হাতিদের জীবন, আচার, সমাজ ইত্যাদিই এই উপন্যাসের উপজীব্য। নারায়ণ সান্যাল মূলত উপন্যাস এর ছলে হাতির একটি ছোটখাট এন্সাইক্লোপিডিয়া তুলে দিয়েছেন পাঠকদের হাতে। কি নেই সেখানে? পৌনে চার কোটি বছর আগের 'মরিথেরিয়াম' বিবর্তনের মধ্য দিয়ে আজ কীভাবে 'লক্সডন্টা আফ্রিকানা' (আফ্রিকান হাতি) ও 'এলিফাস ম্যাক্সিমাস' (এশীয় হাতি) এ দুটি প্রজাতির জন্ম দিল সেই ছক থেকে শুরু করে প্রস্তর যুগের উত্তর আমেরিকা অঞ্চলের 'লোমশ ম্যামথ' এর মাথার খুলির বিবরণ, হাতি ধরবার নানা যুগের নানা অদ্ভুত কৌশল, পনের-সতের শতকের ইয়োরোপিয়ানদের কাছে একেবারেই অপরিচিত এই প্রাণীর লোকমুখে শুনে শুনে আঁকা হাস্যকর সব চিত্র, এদেশের মাহুতদের অসমসাহসিক বৈচিত্র্যময় জীবন; বিচিত্র সব তথ্যের ভিড়ে প্রেমের উপন্যাসের ফাঁকে ফাঁকে হাতিদের অন্য এক জগতে কিছু সময়ের জন্য আচ্ছন্ন করে রাখল বইটি।

বইটিতে হাতিদের বিস্ময়কর বুদ্ধির পরিচয় পাওয়া যায়। কীভাবে বন্য হাতি ধরবার জন্য পোষা হাতি ব্যবহার করা হয় তা জানলে সতিই আশ্চর্য হতে হয়। সদ্যপ্রাপ্ত জ্ঞান জাহির করবার লোভ সামলাতে পারছিনা! ছোট করে এখানে একটু লিখে রাখি। হাতি ধরার অন্যতম একটি পদ্ধতি হল 'খেদা' পদ্ধতি। যেখানে একসাথে ত্রিশ-চল্লিশটি হাতিকে তাড়িয়ে এনে একটি 'খেদা' বা বাঁশের তৈরী শক্ত ঘরে আটকে রাখা হয়। দু-তিনদিন খাবার পানি বিশেষ দেয়া হয়না। এ সময় হাতিগুলো একটু দুর্বল হয়ে পড়লে, পোষা মাদী হাতি খুব সাবধানে খেদায় ঢুকিয়ে দেয়া হয়। দুটি মাদী হাতি একসাথে একটি মদ্দা হাতির সাথে ভাব জমানোর চেষ্টা করতে থাকে। মদ্দা হাতিটি বেশীরভাগ সময়ই এ ডাকে সাড়া দেয়। মাদী হাতি গুলো এমন ভাব করতে থাকে যেন ওদেরও একসাথে এনে আটকে রাখা হয়েছে! বুনো হাতি যখন 'সিডিউসড' হচ্ছে, তখন শুরু হয় মাহুতের কেরামতি। হাতিদের ঘ্রাণশক্তি অসম্ভব তীব্র। ২ মাইল দূর থেকে ওরা মানুষের গায়ের গন্ধ টের পায়। তাই মাহুত দের খেদায় ঢুকতে হয় সারা গায়ে হাতির নাদ ও কাদা মেখে। বুনো মদ্দা হাতি যখন সদ্যপ্রাপ্ত বান্ধবীদ্বয়ের আপ্যায়ণে ব্যস্ত, মাহুত আর চল্লিশটা হাতির চোখ এড়িয়ে সেই মদ্দা হাতির সামনের আর পেছনের একটা একটা করে পা বেঁধে দেয় রশি দিয়ে যার আরেক দুই মাথা পোষা দুই মাদী হাতির বুকের সাথে বাঁধা থাকে। এরপর মাহুতের বিশেষ সংকেতের অপেক্ষা কেবল। দুই দিক থেকে দুই পোষা হাতি প্রবলবেগে টানতে থাকে বুনো হাতিকে। পায়ে বাঁধা থাকায় হাতি বিশেষ জোরও পায়না, ওদিকে বুকের সাথে বাঁধা থাকায় পোষা হাতি দুটো সর্বশক্তিতে টানতে পারে। এভাবে ক্রমেই সেই হাতিকে তার দল থেকে সরিয়ে আনা হয় আশ্চর্য 'ট্রেনিং কক্ষে' যেখানে এক বছরের মধ্যে সেও পূর্বের হাতিদ্বয়ের মতো মাহুতের একান্ত বাধ্য হয়ে উঠবে। অবাক ব্যাপার এই যে, কোন পোষা হাতিই স্বজাতিকে ধরে আনবার এই কৌশলে বিদ্রোহী হয়ে ওঠেনি কখনো। হাতির এমন অবাক করা বুদ্ধির আরো অনেক নমুনা বইটিতে রয়েছে। আছে হাতির অপত্য স্নেহের মর্মস্পর্শী বর্ণনাও। পড়ার সময় যা মনকে এমনিই একটু চঞ্চল করে দেয়!

মাহুতদের ব্যাপারে ক'টি কথা না বললেই নয়। অসম্ভব কঠিন তাদের জীবন যাত্রা। একেবারেই 'আন্ডার পেইড' এ মাহুত সমাজ নিজেরাও সম্ভবত জানেনা তাদের সাহসের শেষ সীমা কোথায়। যে খেদা পদ্ধতির কথা বললাম, সেটি অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ একটি কাজ। লেখক নারায়ণ সান্যাল এ বিষয়ে একজন ইয়োরোপীয় লেখকের উদ্ধৃতি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন স্পেনের ম্যাটাডোররা বুলফাইটে একবারে একটিমাত্র পাগলা ষাঁড় এর মুখোমুখি হন। কিন্তু এই মাহুতরা এই খেদায় একসাথে পঞ্চাশ বা অধিক বুনো হাতির সামনে থাকেন একেবারে নিরস্ত্র অবস্থায় (ম্যাটাডোর এর হাতে তরবারি থাকে) নেংটি পরে গায়ে কাদা আর হাতির নাদ এর 'ছদ্মবেশ', এই কেবল তার একমাত্র আত্নরক্ষার অবলম্বন। আর এতো গেলো কেবল মাত্র একটি বিশেষ কায়দায় হাতি ধরবার কথা। আরো কত যে কঠিন পরীক্ষার মধ্য দিয়ে তাদের যেতে হয় তা তো জানাই হলনা।

হাতিদের বিচিত্র জীবন পদ্ধতি মোটামুটি ভাবে জানবার জন্য বেশ উপকারী একটি বই 'গজমুক্তা', আর সাথে তো নারায়ণ সান্যাল এর অদ্ভুত গল্প বলার ভঙ্গিটা আছেই। নিঃসন্দেহে সংগ্রহে রাখার মত একটি বই, দুই এক সময় যা 'রেফারেন্স' বই হিসেবেও কাজে লেগে যেতে পারে।
… (meer)
 
Gemarkeerd
Shaker07 | May 18, 2017 |

Statistieken

Werken
13
Leden
20
Populariteit
#589,235
Waardering
4.2
Besprekingen
3
ISBNs
6